বিশেষ প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গলে ইসলামপুর (সিন্দুরখান) গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের মুন্নি আক্তার (২২) এক নারী আহত হয়েছে আজ ১ ডিসেম্বর সকালে। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত আহত মুন্নি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেছে এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। মামলার বাদী ও আহত মুন্নি‘র স্বামী মোঃ জাফর আলী জানান- সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক পৃথক হামলায় নিহত মোঃ হাসান মিয়া (২০) ও তার মা মায়া বেগম (৬০) হত্যা মামলার বাদী আমি। সুরতহাল রির্পোটে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কারণ উলে­খসহ পৃথক ২ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারনে মামলার আসামীরা এবং তাদের লোকজন মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে। সর্বশেষ শর্ত সাপেক্ষে মামলার ২নং আসামী পারভীন বেগম ওরফে পারভীন আক্তার মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়ে আজ ১ ডিসেম্বর সকালে আমাদেরকে অশ্রিল ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকেন। এ সময় আমার স্ত্রী মুন্নি আক্তার এগিয়ে আসলে তিনি হামলা চালিয়ে চুলের মুটি ধরে তলপেটে লাথি মারতে মারতে বেধড়ক মারপিট করে লিলা ফুলা জখম করতে থাকেন। হাল­া চিংকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। জানা গেছে- গত ২০১৯ সালের ৯ ফেব্র“য়ারী উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে প্রকাশ্যে সৎ ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগমের ভাই রিপন মিয়া, তার ভ্রাতুসপুত্র জয় মিয়া ও এলাকার নাঈম মিয়া মিলে ভাই হাসান মিয়া (২০) এর উপরে আক্রমণ রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার ১৫ দিন পর অর্থাৎ ২৫ ফেব্র“য়ারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মৃত্যু বরণ করেন। একই ভাবে গত ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর আকবর আলীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগম এর সন্তান আছিদ আলী, পারভীন বেগম, উমর আলী, দিলারা বেগম, আব্দুল আলী, শিউলী বেগম, জামিল মিয়া, শাকিল মিয়া ও তারেক মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন মিলে-মিশে জাফর আলী ও তার মা মায়া বেগমের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত মায়া বেগমকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে পরে মৌলভীবাজার ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালে এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিগত ১১ জানুয়ারি তিনিও মৃত্যুবরণ করেন। সর্বশেষ হাসান মৃত্যুর ঘটনায় ( মামলা নং- জিআর ৩৯/ ২০১৯ ( শ্রীমঙ্গল) বিজ্ঞ আদালতে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক, মৌলভীবাজার জেলা অফিস স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র দাখিল করেন।